অব্যয় কাকে বলে? প্রকার ও উদাহরণ
অব্যয় বাংলা ব্যাকরণের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি এমন এক ধরনের শব্দ, যার কোনো রূপ পরিবর্তন হয় না, এবং বাক্যে ব্যবহৃত হলেও পদ পরিবর্তন হয় না। অর্থাৎ, অব্যয় পদ সব সময় একই রকম থাকে এবং এর লিঙ্গ, বচন, পুরুষ ইত্যাদির উপর কোনো প্রভাব পড়ে না।
অব্যয় কাকে বলে?
যে শব্দ অপরিবর্তনীয় এবং বাক্যে অন্যান্য শব্দের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করে কিংবা বাক্যের অর্থ প্রকাশে সহায়তা করে, তাকে অব্যয় বলা হয়।
উদাহরণ: ওহ, আহা, কিন্তু, যদি, যদিও, তাই, যেন, অথবা, এবং, যেখানে, যখন ইত্যাদি।
অব্যয় এর প্রকারভেদ:
- সম্বোধনসূচক অব্যয়: ডাক বা সম্বোধনের জন্য ব্যবহৃত হয়।
যেমন: ওরে, আয়রে, ভাই, হে, হায়। - সম্বন্ধবাচক অব্যয়: দুটি বা ততোধিক পদ/বাক্যের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করে।
যেমন: এবং, অথবা, কিন্তু, তাই, যেন। - সময়বাচক অব্যয়: সময় বোঝাতে ব্যবহৃত হয়।
যেমন: যখন, তখন, তখনই, এখন, তখনকার। - কারণবাচক অব্যয়: কোনো কাজের কারণ বোঝাতে ব্যবহৃত হয়।
যেমন: কেননা, কারণ, যেহেতু, তাই। - উপায়বাচক অব্যয়: কোনো কিছুর উপায় বোঝাতে ব্যবহৃত হয়।
যেমন: দ্বারা, সহিত, সঙ্গে, দিয়ে। - সংযোগবাচক অব্যয়: দুটি বাক্য, পদ বা অংশকে সংযুক্ত করে।
যেমন: এবং, অথবা, কিন্তু, কারণ, যেহেতু, যদি। - আবেগসূচক অব্যয়: আবেগ প্রকাশ করে।
যেমন: আহা, বাহ, উহু, আরে, হায়!
অব্যয় এর কিছু সাধারণ উদাহরণ:
অব্যয় | প্রকার | বাক্যে প্রয়োগ |
---|---|---|
আহা | আবেগসূচক | আহা! কী সুন্দর ফুল! |
যদি | সংযোগবাচক | তুমি যদি চাও, আমি যাব। |
এবং | সংযোগবাচক | রাহুল এবং রিমি স্কুলে যায়। |
কেননা | কারণবাচক | সে অনুপস্থিত ছিল, কেননা সে অসুস্থ। |
উপসংহার:
অব্যয় বাক্যে গুরুত্বপূর্ণ অর্থ এবং সম্পর্ক প্রকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এটি অপরিবর্তনীয় হলেও বাক্য গঠনে অপরিহার্য। সঠিকভাবে অব্যয় ব্যবহার করলে বাক্য হয়ে ওঠে বেশি সুস্পষ্ট ও প্রাঞ্জল।
এই শিক্ষামূলক পোস্টটি ভালো লেগে থাকলে বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করতে ভুলবেন না!
No comments:
Post a Comment